মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং। এটা এমন একটি টেকনোলজি যা বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের সমন্বিত কার্যক্রম। যাতে অতি সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে অতি বৃহৎ যন্ত্রাংশ, ডিভাইস বা মেশিন উৎপাদন করা হয়। এতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারগণ যন্ত্রাংশ বা মেশিনের ডিজাইন থেকে শুরু করে ঐ যন্ত্রাংশ বা মেশিন তৈরির সকল ধাপে কাজ করে থাকেন। এখানে উল্লেখ্য যে, পৃথিবীতে যত টেকনোলজি আছে তাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত সকল যন্ত্রাংশ বা মেশিনগুলো মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারগণ তৈরি করে থাকেন। তবে এ সমস্ত জিনিসপত্র তৈরি করার জন্য ইঞ্জিনিয়ারগণকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হয়।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজঃ মেকানিক্যাল যেহেতু একটি বিস্তৃত এবং বিচিত্র ধরনের টেকনোলজি সেহেতু মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে কোন যন্ত্রাংশ তৈরির পূর্বে এর পরিকল্পনা, ডিজাইন, প্রাক্কলন করতে হয়। ইহা ছাড়া- ক) ডিজাইন করা খ) মেজারমেন্ট ঠিক মতো নেয়া গ) সঠিক মেশিন ও সঠিক মেটারিয়াল নির্বাচন করা ঘ) সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ পূর্বক মালামাল তৈরি করা ঙ) সুপারভিশন করা চ) কোয়ালিটি কন্ট্রোল করা ছ) যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ করা ইত্যাদি।
কর্মক্ষেত্রের পরিধি: সঠিক দক্ষতা অর্জন করতে পারলে দেশে এবং বিদেশে প্রচুর জব রয়েছে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য। যে সমস্ত জায়গায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের জব রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ক্ষেত্র হলোঃ
ক) সকল ধরনের কল-কারখানা/শিল্প প্রতিষ্ঠান।
খ) পিডিবি বা বিদ্যুৎ উৎপাদন সেক্টর।
গ) সড়ক ও জনপথ বিভাগ
ঘ) গণ-পূর্ত বিভাগ
ঙ) ওয়াসা
চ) নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
ছ) অটোমোবাইল সেক্টর
জ) বন্দর কর্তৃপক্ষ
ঝ) রেলওয়ে
ঞ) এয়ারলাইনস
ট) স্থল, বিমান ও নৌ-বাহিনী
ঠ) অটোমেশন ইন্ডাস্ট্রি
ড) রোবটিক শিল্প
ঢ) পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা
ন) নিজ উদ্যোগে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়া
প) খনিজ ও পেট্রোলিয়াম সেক্টর ইত্যাদি।
একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, দক্ষতাই সমৃদ্ধি। যেন-তেন বা অবহেলা করে অধ্যয়ন করলে দক্ষতা অর্জিত হয় না। দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রথম দিন থেকেই আন্তরিক ও পরিশ্রমী হতে হবে। ডিজিটাল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এই দক্ষতার খুব প্রয়োজন।