সাবজেক্ট রিভিও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পৃথিবীর প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে গেলে যে বিষয়টি মানুষের মাথায় খেলা করে তা হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরকৌশল। একজন সাধারণ মানুষ ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিকেই কল্পনা করে থাকেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সভ্যতার শুরু থেকেই বিস্তার লাভ করে আসছে। বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিদের ছোঁয়া লাগেনি। সবচেয়ে পুরাতন, বড় এবং সকল প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয় এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ।
সুউচ্চ ভবন, হাইওয়ে, ব্রীজ, পানি প্রকল্প, পাওয়ার প্লান্ট ইত্যাদি পরিকল্পনা, ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষণাবেক্ষন করার কাজ করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জরিপের কাজ করে থাকে, প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেয়, এমনকি প্রকল্প ব্যবস্থাপক এর কাজও করে থাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। শুধুমাত্র দেশে নয়, দেশের বাহিরেও রয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অধিক চাহিদা। আমেরিকার ৬ নম্বর সেরা চাকুরি হল সিভিল। আমেরিকাতে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের বাৎসরিক বেতন নুন্যতম ৮০,০০০ ডলার থেকে ১২০,০০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ব বাড়ছে। বর্তমানে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কাজ করে। তারা আগুনে ক্ষয় ক্ষতি যেন কম হয় সেই বিষয়েও কাজ করে। পুরাতন মিশর এর পিরামিড বা রাস্তা নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর ভূমিকা উল্ল্যেখযোগ্য অবদান ছিল। পানি বাতাস এবং মাটি পরিশোধনের বিভিন্ন উপায় নিয়েও তারা সজাগ।
যেহেতু সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ান এর পরিসর বাড়ছে তাই এর অনেক শাখা বের হয়েছে। এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল- ১) মৃত্তিকা প্রকৌশল ২) স্ট্রাকচারাল প্রকৌশল ৩) পরিবহন প্রকৌশল ৪) পানি সম্পদ প্রকৌশল ৫) পরিবেশ প্রকৌশল ৬) কনস্ট্রাকশন কৌশল ৭) সার্ভেয়িং ৮) এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং
কর্মক্ষেত্র:
১) সড়ক ও জনপদ ২) গণপূর্ত বিভাগ ৩) রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ৪) নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৫) পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ৬) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ইত্যাদি।