Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের পরিচিতি

কম্পিউটার এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। যাকে বলা হয় গ্লোবাল ভিলেজ (Global Village)। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বা ডিজিটালাইজড করতে হলে কম্পিউটার শিক্ষাকে প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে। কম্পিউটারের মাধ্যমে ভূমি থেকে আকাশ জয় করে চলেছে প্রযুক্তিবিদরা। প্রযুক্তি মানে হল নতুন আবিষ্কার (Invention) যেমন এ পৃথিবীর স্রষ্টা মানুষকে সে প্রযুক্তির জ্ঞান দিয়েছেন যা পরিচালিত হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রাম দ্বারা। সুতরাং এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় কম্পিউটার পৃথিবীর বিস্ময়কর আবিষ্কার এবং এর চাহিদা পৃথিবীর সর্বত্র বিরাজমান। তাই এ উক্তি হোক আমাদের আকাংঙ্খা "একটি জানালা একটি দৃশ্য একটি কম্পিউটার সারা বিশ্ব"।

 

কম্পিউটারের প্রয়োগক্ষেত্রঃ

 শিক্ষাক্ষেত্রে: শিক্ষাক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস বা টিউটোরিয়াল বা ভিডিও এবং কোন প্রমাণ্য চিত্র বিশেষ অবদান রাখতে পারে।

গবেষণাক্ষেত্রে : বৈজ্ঞানিক কাজের বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল বা কোন ফলাফল বিশ্লেষণ বা মহাকাশ গবেষণা বা কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলাফল বা ক্রিয়া/বিক্রিয়ার ফলাফল জানা সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র কম্পিউটারের অবদানে। চিকিৎসাক্ষেত্রেঃ জটিল রোগ নির্ণয়, বিভিন্ন রোগের পরীক্ষার সঠিক ফলাফল প্রদান করছে। যেমন আল্ট্রা/এম আর আই ইত্যাদি সম্পূর্ণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। ক্রিয়া-কলাপে সামর্থ রাখে।

রোবটিক্স: যা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রোগ্রাম কিন্তু এটি মানুষের মত এ্যাক্টিং বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং : মানুষের বংশ বিস্তারের একটি উপাদান হল 'জিন' যা এক জীব দেহ থেকে অন্য জীব দেহে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এটি (জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং) সম্পূণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত প্রোগ্রামের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে।

বাংলাদেশে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের জব চাহিদা ও বাস্তব কর্মক্ষেত্র: বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সহকারী প্রোগ্রামার/সিস্টেম এনালিস্ট/নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ও কল সেন্টার সমূহে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। জেনারেল কলেজ সমূহে ICT শিক্ষক (BCS)। ব্যাংক/ বীমা/ করর্পোরেট অফিস সমূহে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর জব চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন শ্বায়ত্ত্বসাশিত প্রতিষ্ঠান সমূহে উপ-সহকারী প্রকৌশলী/ সহকারী প্রোগ্রামার হিসেবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারগণ সেবা প্রদান করছে। যেমন: পাওয়ার গ্রীড কোঃ লিঃ, তিতাস গ্যাস। টেন্ডারিং-এর গতানুগতিক সিস্টেমের পরিবর্তে এখন ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়া খুব নির্ভেজাল বা স্বচ্ছ প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত । যাতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারগণ ওয়েভ ডেভেলপার/প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছে, যা বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল। সর্বোপরি বাংলাদেশের সকল মালিকানাধীন শিল্পকারখানায় উপ-সহকারী প্রকৌশলীগণের অবারিত কর্মের সুযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য যে কম্পিউটার প্রোগ্রামারগণ আউট সোর্চিং এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। তাই করুণাময়ের দয়ায় আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিত- "কম্পিউটার শিক্ষা ডিজিটাল বাংলাদেশের দীক্ষা মানসম্মত শিক্ষা নাই চাকুরির নিশ্চয়তা নাই কম্পিউটার শিক্ষা যার হাতে চাকুরি নিশ্চয়তা তার সাথে"